রোহিঙ্গা বিষয় সমাধানে জাতিসংঘকে আহ্বান যুক্তরাজ্যের

প্রকাশঃ আগস্ট ৩০, ২০১৭ সময়ঃ ১২:১৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:১৮ অপরাহ্ণ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান সহিংসতায় জাতিসংঘকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। আজ বুধবার এ আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ রেক্রফট এ আহ্বান জানান।

জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি ম্যাথিউ রেক্রফট বলেন, ‘বার্মায় চলমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে (ইউএনএসসি) আগামীকাল (বুধবার) আলোচনায় বসার আহ্বান জানাচ্ছে যুক্তরাজ্য। রাখাইনে দীর্ঘদিন ধরে চলা এই পরিস্থিতি তুলে ধরা দরকার এবং এর সমাধানে প্রয়োজন সবার অংশগ্রহণ।’

এদিকে গত সোমবার মিয়ানমারে সব মানবাধিকার সংস্থাকে অবাধে প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ।

মহাসচিব বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে সাধারণ রোহিঙ্গাদের হত্যার ঘটনার যে প্রতিবেদন বেরিয়েছে, তাতে জাতিসংঘ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনীকে এই সহিংসতা থেকে নিবৃত্ত করতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা জায়িদ রাদ আল-হুসেইন। তিনি বলেন, ‘কোনোরকম বৈষম্য না করে রাজনীতিকদের কর্তব্য দেশের সব নাগরিকদের সুরক্ষ দেওয়া।’ পরিস্থিতি শোচনীয় আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে এর সমাধানের প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন আল-হুসেইন।

অং সান সু চি এক বিবৃতিতে বলেন, শুক্রবারের হামলায় একজন সেনা, ১০ পুলিশ কর্মকর্তা, একজন অভিবাসন কর্মকর্তা এবং ৭৭ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেনশন আর্মি (এআরএসএ) মারা গেছেন।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এ ঘটনার পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করে। এই বাহিনীর মর্টার ও মেশিনগানে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায় এবং হাজার হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে যেতে থাকে। রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নির্বিচারে নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর গুলি চালাচ্ছে এবং তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

২০১২ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত চার লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) রয়টার্সকে বলেছে, গত সোমবার থেকে এ পর্যন্ত তারা ৫৫০ রোহিঙ্গাকে নাফ নদীর ওপর দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থান করছে। এদিকে রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্তে বিজিবি জোরালো টহল অব্যাহত রেখেছে।

তবে জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G